ইলন মাস্ক

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক যার মোট সম্পদের পরিমাণ $376 বিলিয়ন অনুমান করা হয়, এবারের নির্বাচনে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন দিয়েছিলেন। মাস্ক রিপাবলিকান প্রার্থীকে সমর্থন করার জন্য তৈরি সুপার কমিটি আমেরিকা PAC-এ প্রায় 240 মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছিলেন। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প অবিলম্বে তার ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে মাস্ককে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। টেসলা এবং স্পেসএক্স সিইওকে নতুন প্রতিষ্ঠিত সরকারি দক্ষতা বিভাগের সহ-প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে, যেখানে তিনি ফেডারেল এজেন্সির কার্যক্রম পরিচালনা করা, আমলাতন্ত্র হ্রাস করা এবং অত্যধিক ব্যয় কমানোর দায়িত্ব পালন করবেন।

স্টিফেন ফেইনবার্গ

স্টিফেন ফেইনবার্গ, যিনি পূর্বে ট্রাম্পের অধীনে প্রেসিডেন্টের গোয়েন্দা উপদেষ্টা বোর্ডের সভাপতি ছিলেন, এবার তাকে প্রতিরক্ষা উপসচিব হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। ফিনবার্গ হলেন প্রতিরক্ষা খাতে বিনিয়োগের জন্য পরিচিত বিনিয়োগ সংস্থা সার্বেরাস ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও। সংস্থাটির কার্যক্রমের মধ্যে সামরিক যানবাহন উৎপাদন এবং বিমান প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে৷ তার মোট ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক $8 বিলিয়ন ডলার।

ওয়ারেন স্টিফেনস

মিডিয়া, জ্বালানি এবং খুচরা বিনিয়োগের জন্য পরিচিত আর্থিক সংস্থা স্টিফেনস ইনকর্পোরেটেডের সিইও, ওয়ারেন স্টিফেনস ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় দাতাদের একজন। 2004 সাল থেকে, 5 বিলিয়ন ডলারের সম্পদের মালিক স্টিফেনস ট্রাম্পের রাজনৈতিক প্রচারণায় প্রায় $75 মিলিয়ন অনুদান দিয়েছেন, যার মধ্যে এই বছর $2 মিলিয়নেরও বেশি রয়েছে। তার সমর্থনের স্বীকৃতিস্বরূপ, ট্রাম্প স্টিফেনসকে যুক্তরাজ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করেন। তবে তার নিয়োগের জন্য সিনেটের অনুমোদন প্রয়োজন।

হাওয়ার্ড লুটনিক

নির্বাচনে জয়লাভের পর ট্রাম্প ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ফার্ম ক্যান্টর ফিটজেরাল্ডের সিইও হাওয়ার্ড লুটনিককে মার্কিন বাণিজ্য সচিব হিসেবে মনোনীত করেন। লুটনিকের মোট সম্পদের পরিমাণ $2 বিলিয়ন, তিনি 2001 সালে 11 সেপ্টেম্বরের হামলার পর সফলভাবে তার কোম্পানি পুনর্গঠনের জন্য পরিচিত, এই হামলায় ক্যান্টর ফিটজেরাল্ডে 658 জন কর্মীর প্রাণ গিয়েছিল। সিনেটের অনুমোদন নিশ্চিত হলে, লুটনিক তার ব্যবসা থেকে সরে যাওয়ার এবং একটি স্বাধীন ট্রাস্টে তার শেয়ার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

জ্যারেড আইজ্যাকম্যান

ট্রাম্পের সাম্প্রতিক নিয়োগগুলোর মধ্যে একটি হল জ্যারেড আইজ্যাকম্যান, যিনি নাসার নতুন প্রধান হিসাবে মনোনীত হয়েছে। এই বিলিয়নিয়ারের মোট সম্পদের পরিমাণ $2 বিলিয়ন ডলার। আইজ্যাকম্যান শিফটফোর পেমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও, যিনি বাণিজ্যিক স্পেসফ্লাইটে তার কৃতিত্বের জন্য বিখ্যাত। 2021 সালের সেপ্টেম্বরে, তিনি ইন্সপাইরেশন ফোর মিশনের নির্দেশ দেন, যা স্পেসএক্স দ্বারা সংগঠিত প্রথম ব্যক্তিগত স্পেসফ্লাইট। এই বছরের সেপ্টেম্বরে, তিনি পোলারিস ডন মিশনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং এর মাধ্যমে তিনি মহাকাশযান পরিচালনায় প্রথম বেসরকারী নাগরিকে পরিণত হয়েছিলেন।

বিবেক রামাস্বামী

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বকনিষ্ঠ বিলিয়নিয়ারদের একজন বিবেক রামাস্বামীকে ট্রাম্প সরকারী দক্ষতা বিভাগের সহ-প্রধান হিসাবে নিযুক্ত করেছেন। $1.1 বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে রামাস্বামী রোইভ্যান্ট সাইন্সেস-এর প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে এই পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। এটি একটি বায়োটেক কোম্পানি যা তাদের বিকাশের প্রাথমিক পর্যায়ে স্থগিত ওষুধগুলোকে পুনরুজ্জীবিত এবং লাইসেন্স প্রদানে বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান। এছাড়া তিনি বিনিয়োগ সংস্থা স্ট্রাইভ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতাও।

ফ্রাঙ্ক বিসিগনানো

ডোনাল্ড ট্রাম্প সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান হিসেবে ফিনটেক কোম্পানি ফিসারের সিইও ফ্রাঙ্ক বিসিগনানোকে মনোনীত করেছেন। বিসিগনানো বৃহৎ কর্পোরেশনকে রূপান্তরিত করার সক্ষমতার জন্য পরিচিত এবং পূর্বে জেপি মরগান চেজ এবং সিটিগ্রুপে সিনিয়র পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তার মোট সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক $1 বিলিয়ন।